ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহরগুলো থেকে দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ।

লোকেশনঃমুন্সীপাড়া রোড,গাজীপুর 
ছবিঃওয়াসিফ আহমেদ কিশোর

 ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহরগুলো থেকে দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। কিন্তু মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে উঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে রাখতে চায় আবাসস্থলে।ঠিক তেমনি ভাবে গতকাল ঘুরতে যাওয়ার সময় মানুষের কোলাহল ভিড় কেটে গাজীপুর মুন্সী পাড়া রাস্তায়  একটু সামনে যেতেই চোখ পরে একটি বাসায় বেলকনিতে এবং তার সৌন্দর্য দেখে এত গরম আর কোলাহলের মধ্যেও কেমন জানি একটা ভালো লাগা শান্তি অনুভব করি,অনেকখন তাকিয়ে দেখলাম   শৌখিন মানুষরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় আপন আপন বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান। সময়ের সাথে এ বাগান এখন আর শৌখিনতায় আটকে নেই। নিরাপদ সবজি দিয়ে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদাপূরণ, পারিবারিক বিনোদন এবং অবসর কাটানোর এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এ ছাদ বাগানগুলো।


শহরের এত ব্যস্ততা তবুও গ্রামের প্রকৃতির ছোয়া পেতে একটু প্রকৃতির সাথে সময় কাটানোর জন্য তারা যেনো তারা তাদের সবকিছু ঠিক রেখেও একটু  নিজের সব  সখ মনের মাধুরি মিশিয়ে তৈরি করেছেন এই বেলকনিতে বাগান।বাগানটি এতটাই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে যে কারো ভালো লাগবেই, জানিনা কে বা কারা এটি তৈরি করেছে কিন্তু তারা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে,

 বাংলাদেশের শহুরে কৃষি ব্যবস্থার শৌখিন পদযাত্রা সময়ের বিবর্তনে এক সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিতে যাচ্ছে।

ছাদে বাগান কোনো নতুন ধারণা নয়। অতি প্রাচীন সভ্যতায়ও ছাদে বাগানের ইতিহাস চোখে পড়ে। খ্রিস্টের জন্মেরও পূর্বে মেসোপটিয়াম ও পারস্যের জুকুরাক নামীয় পিরামিড আকৃতির উঁচু পাথরের স্থাপনায় বাগান ও ছোট গাছ লাগানোর জন্য স্থান নির্ধারণ করার নিদর্শন পাওয়া যায়। পম্পেই নগরীর কাছেই প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রোমান ভিলায় কেবল একটি নির্দিষ্ট ছাদ তৈরিই করা হয়েছিল বাগান করার জন্য। এগারো শতকের পুরনো কায়রো শহরে বহুতল ভবন নির্মাণ হয় যার কোনোটি কোনোটি ছিল চৌদ্দতলা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ ভবনগুলোর সবগুলোর ছাদেই বাগান স্থাপন করা হয়েছিল সৌন্দর্যের অংশ হিসেবে যাতে সেচ দেয়ার জন্য প্রাণী শক্তির সাহায্যে চাকা ঘুরিয়ে পুলি দিয়ে নিচ থেকে ওপরে পানি তোলা হতো। ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানও ধারণা করা হয় বিভিন্ন ছাদ ও বারান্দার সমন্বয়ে তৈরি তবে ঐতিহাসিকভাবে এ উদ্যানের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও তৎকালে বর্তমানে ইরাকের মসুল শহরের কাছেই আরেক ঝুলন্ত উদ্যানের নিদর্শন পাওয়া যায়।   

ঘুরতে এবং ছবি তুলতে ভালো লাগে তাই যখন চোখের সামনে সুন্দর কিছু দেখি ক্যামেরাবন্ধী করে নেই,, আর তা সবার কাছে প্রকাশ করি,,ঠিক তেমনি গতকাল ঘুরতে যাওয়ার সময় হঠাৎ চোখে পড়ে সুন্দর বাগানটি,। 
লোকেশনঃমুন্সীপাড়া রোড,গাজীপুর 
ছবিঃওয়াসিফ আহমেদ কিশোর
ঠিকানাঃগাজীপুর 
পেশাঃডিপ্লোপা স্টুডেন্ট 
শখঃঘুরাঘুরি, ছবি তোলা
মোবাইলঃ01734929729.
 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দীর্ঘ বিরতির পর ঈদের নামাজে রাজু আহমেদ, উচ্ছ্বসিত স্থানীয় যুবসমাজ

ভালো থাকতে হলে মাঝেমধ্যে স্বার্থপর হতে হয়...

অকারণে মন খারাপ কখনই হয় না। এইটা আমার বোধগম্য নয়