পোস্টগুলি

2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহরগুলো থেকে দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ।

ছবি
লোকেশনঃমুন্সীপাড়া রোড,গাজীপুর  ছবিঃ ওয়াসিফ আহমেদ কিশোর   ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহরগুলো থেকে দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। কিন্তু মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে উঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে রাখতে চায় আবাসস্থলে।ঠিক তেমনি ভাবে গতকাল ঘুরতে যাওয়ার সময় মানুষের কোলাহল ভিড় কেটে গাজীপুর মুন্সী পাড়া রাস্তায়  একটু সামনে যেতেই চোখ পরে একটি বাসায় বেলকনিতে এবং তার সৌন্দর্য দেখে এত গরম আর কোলাহলের মধ্যেও কেমন জানি একটা ভালো লাগা শান্তি অনুভব করি,অনেকখন তাকিয়ে দেখলাম   শৌখিন মানুষরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় আপন আপন বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান। সময়ের সাথে এ বাগান এখন আর শৌখিনতায় আটকে নেই। নিরাপদ সবজি দিয়ে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদাপূরণ, পারিবারিক বিনোদন এবং অবসর কাটানোর এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এ ছাদ বাগানগুলো। শহরের এত ব্যস্ততা তবুও গ্রামের প্রকৃতির ছোয়া পেতে একটু প্রকৃতির সাথে সময় কাটানোর জন্য তারা যেনো তারা তাদের সবকিছু ঠিক রেখেও একটু  নিজের সব  সখ মনের মাধুরি মিশিয়ে তৈরি করেছেন ...

একটা মানুষ ঠিক আরেকটা মানুষকে ততদিন উজ্জ্বল মনে করে থাকে যতদিন তার স্বার্থ অটল থাকে

ছবি
 একটা মানুষ ঠিক আরেকটা মানুষকে ততদিন উজ্জ্বল মনে করে থাকে যতদিন তার স্বার্থ অটল থাকে ।স্বার্থ পেয়ে গেলে মন থেকে ঐ মানুষটাকে সরিয়ে অন্য একজনকে স্বার্থের জায়গায় বসিয়ে দেয়।এভাবেই চলতে থাকে স্বার্থের চক্রটা !! জীবনে হুট করে চলে আসা কেউ ফুরুত করেই উড়ে যাবেনা এটা ভাবা যেমন বোকামী, ঠিক তেমনি যোগ্যতার চেয়েও বেশি কিছু পেলে অহংকার বাড়বেনা এটা ভাবাও বোকামী... অহংকার এমনিতেই বেড়ে যায়না, অন্য কেউ এসে বাড়িয়ে দেয় !! দেখবেন যে আপনার মন খারাপের সময়ে কাওকে মেসেজ দিয়ে পাবেন না, অথচ অন্য সময় সারাক্ষণ এরা আপনার আশেপাশেই ঘুরঘুর করবে!

আজ আমি একা চলতে শিখেছি।

ছবি
 আজ আমি একা চলতে শিখেছি।বাস্তবতাকে শিখতে পেরেছি।নিজের পায়ে দাড়ানোর মতো সাহস পেয়েছি।অার কারো অবহেলাকে আই জাস্ট ডোন্ট কেয়ার।মুখ আর মুখোশের পার্থক্য বুঝেছি।এসব কিছুই পরিস্থিতি আমাকে শিখিয়েছে।হয়তো আজ সময়টা খারাপ বলে সময়ের সাপেক্ষে আমি একা কিন্তু একটা কথা মানতে হবে সময় কখনো সবার এক থাকে না।আজ হয়তো সময় খারাপ কালও খারাপ হতে পারে কিন্তু পরশু ঠিকই ভালো সময় আসবে ইনশাআল্লাহ।আমি সেই আশাতেই রইলাম।

কথার চেয়ে বেশি আঘাত আর কিছুই করে না মানুষের মনকে

ছবি
 কথার চেয়ে বেশি আঘাত আর কিছুই করে না মানুষের মনকে। কথাটা তাই একটু সুন্দর করে বলেন।  "আমি সত্যি কথা মুখের উপরে বলে দেই, এজন্য মানুষ আমাকে ভুল বুঝে খারাপ মনে করে!" সত্যি কথা বলার জন্য কেউ কখনো আপনাকে খারাপ মনে করে না। বরং আপনার কথাটা বলার ধরণটা উদ্ধত, সেজন্যই কষ্ট পায়।  এই ভুলভাবে কথা বলার জন্য কত মানুষকে যে জীবনে হারাতে হয় হিসাব নাই। আপনার কথার খোঁচা খেতে খেতে সে কবে মনে মনে একটা দেয়াল তৈরি করে ফেলেছে। সে আপনার পাশেই আছে, কিন্তু আপনার উপর থেকে মনটা উঠে গেছে। আপনি জানতেও পারবেন না।  হঠাৎ করে একদিন আবিষ্কার করবেন, চারপাশে দেয়াল তোলা। আপনি চাইলেও সেই দেয়াল ভেদ করে মানুষটার মনের কাছে আর পৌঁছাতে পারবেন না। অনেক দেরি করে ফেলেছেন যে..

আমার অনুপস্থিতিতে আমার প্রশংসা বা দুর্নাম কোনোটাই আমার উপর প্রভাব ফেলে না।

ছবি
 আমার অনুপস্থিতিতে আমার প্রশংসা বা দুর্নাম কোনোটাই আমার উপর প্রভাব ফেলে না। শুধু আমার সামনে যেটুকু বলা হবে, সেটুকুই আমি জানবো। আমি না থাকলেও আমাকে নিয়ে ভালো কথা বলতে হবে, এমন নিয়ম আমার সবথেকে কাছের মানুষের জন্যও প্রযোজ্য নয়। আমি চোখের আড়ালে গেলেই নিন্দা করার সু্যোগ আছে তোমার। তাতে আমার একটুও কষ্ট হবেনা। আমি মরে গেলে আমার স্মৃতি নিয়ে কাউকে জীবন পার করতে হবেনা। আমি জীবিত অবস্থায় ভালোবাসা পেলেই সুখী।

একটা সময় ছিলো যখন আমার প্রিয় মানুষের সংখ্যা গুনতে আমার অনেক সময়ের প্রয়োজন হতো,তারপরও যেন তাদের গণনা করে শেষ হতো না।

ছবি
 এ কটা সময় ছিলো যখন আমার প্রিয় মানুষের সংখ্যা গুনতে আমার অনেক সময়ের প্রয়োজন হতো,তারপরও যেন তাদের গণনা করে শেষ হতো না। যেন আদমশুমারি করতে হতো পাড়া - মহল্লা, গ্রাম থেকে শহর কিংবা দেশ ছেড়ে বিদেশ বেড়িয়ে। আমি প্রচুর আশা রাখতাম মানুষগুলোর উপর, বিশ্বাস ছিলো যেন এক শক্ত প্রাচীরের দেওয়াল আর ভাবতাম আমার চারপাশে থাকা মানুষগুলো প্রচ্চুর ভালো মনের মানুষ!  দুনিয়া তলিয়ে গেলেও তারা ছেড়ে যাবে না। আমি ভেবে নিয়েছি আমার চারপাশে মানুষগুলো আমাকে ভালোবাসে,আমি ধারণা করতাম আমার চারপাশে ছড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ভালো/খারাপ সবসময়ই আমার পাশে থাকবে,যেন শীতের চাদর, আর কাল বৈশাখী ঝড়ের ছাতা,রৌদের ছায়া হয়ে থাকবে,কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করলাম আমার এসব ধারণা একেবারে ভুল আর নিছক ছেলেমানুষি ছিলো!। প্রয়োজনে প্রিয় হয়ে আমাকে জানার জন্য বহু মানুষ পাশে এসেছিলো, আমার আমাকে জেনে যাওয়ার পরে সময়ের স্রোতে তারাও হারিয়ে গেছে,বড় ভাই,ছোটভাই,বন্ধু-বান্ধুবী, প্রিয়জন কিছুই বাদ যায় নি এই লিষ্টে! তবে এখন তারা হারিয়ে গেছে সময়ের মিছিলে, অনেকে আছে না থাকার মত করে  প্রয়োজন শেষে প্রিয়তা শেষ করে। আবার অনেকে না বলে বিদায় নিয়েছে। সুনীল...

অতি খাতিরে পাতিল ভাঙ্গে...!

ছবি
 অতি খাতিরে পাতিল ভাঙ্গে...! কারো সাথে অতিরিক্ত ফ্রি বা খাতির করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ কারো প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাতির করলে বা ফ্রি হয়ে গেলে, সে আপনার প্রাপ্য সম্মান কখনোই দিবে না। তাই আপনি কে তা কখনোই ভুলে যাবেন না এবং কারো সাথে  অতিরিক্ত ফ্রি বা খাতির না করে নিজেকে ছোট করা থেকে বিরত থাকুন।

আপনার ভালো হওয়াটা এই পৃথিবী আপনাকে বোকা মনে করে

ছবি
 সৎ হউন কিন্তু কখনোই নিজেকে ব্যবহার হতে দেবেন নাহ, ভালোবাসুন কিন্তু কখনোই নিজেকে কষ্ট পেতে দেবেন নাহ, বিশ্বাস করুন কিন্তু কখনোই বোকা হবেন নাহ, অন্যের কথাকে শুনুন কিন্তু নিজের কথাকে চেপে রাখবেন নাহ!! আপনার ভালো হওয়াটা এই পৃথিবী আপনাকে বোকা মনে করে। নিজেকে এতোটাই বোকা তৈরি করুন যাতে কারোর ক্ষতি না করেন, আর নিজেকে এতোটাও চলাক রাখুন যাতে লোক আপনার ক্ষতি না করতে পারে!!  এমন কোনো মানুষের সাথে কথা বলবেন নাহ, যে নিজে থেকে আপনার সাথে কথা বলতে চায় নাহ। কারোর সাথে একবার কথা বললেই আপনি বুঝতে পারবেন, সে আপনার সাথে কথা বলতে চায়, কি চায় নাহ?? আর কারোর সাথে ফালতু কথা বলার থেকে ভালো হলো- নিজের লাইফটা ইনজয় করুন। কেবল তাদের সাথেই কথা বলুন, যারা আপনার সাথে কথা বলার জন্য সব সময় রেডি থাকে ও আপনার সাথে কথা বলে খুশিতে থাকে!! আরেকটি কথা- বিশ্বাসের উপরেই এই পৃথিবী চলছে, আপনার বিশ্বাসই আপনাকে বাঁচিয়ে রাখে। নিজের উপরে বিশ্বাস রাখুন, আপনাকে পাখির থেকে শেখা উচিত। কারণ- সে যখন সন্ধ্যা হলে বাসায় ফিরে তখন তার মুখে কোনো খাবার থাকে নাহ কিন্তু এই বিশ্বাসটা তার মনে থাকে, যে কাল সে ঠিক খাবার পেয়ে যাবে।  তাই ...

নিজেকে ভালো রাখার দায় সম্পূর্ণ নিজের । অন্য কারোর কিন্তু কোনো দায় নেই আপনাকে ভালো রাখার

ছবি
 নিজেকে ভালো রাখার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখাটা খুব জরুরি ; — নিজেকে ভালো রাখার দায় সম্পূর্ণ নিজের । অন্য কারোর কিন্তু কোনো দায় নেই আপনাকে ভালো রাখার ।  — কারোর সাথে প্রতিযোগিতা করার আগে নিজের যোগ্যতা আর সক্ষমতা নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন। বরং আমি বলবো ; অন্য কারোর সাথে প্রতিযোগিতা না করে, নিজের সক্ষমতা আর সাধ্যের মধ্যে নিজের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন ।  — কার কি আছে তা না দেখে , বরং আপনার নিজের কি কি আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন ।  — নিজের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা নিজেকেই করতে হয় , বড়জোর অন্য কেউ আপনাকে সাহয্য সহযোগিতা করতে পারে । এর বেশি কিছু অন্যদের কাছ থেকে আশা করাটা ভুল ।  — নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন । আপনি কালো ,মোটা , বেটে, দেখতে খারাপ, ডিভোর্সী , বিয়ে হয় না , বাচ্চা হয় না , ব্লা ব্লা এই সব নিয়ে কান্নাকাটি না করে বরং এই বিষয় গুলি পজিটিভলি নিতে শিখুন । সময় গুলি কাজে লাগান। নিজের যা আছে, যতটুকু আছে তারই যত্ন নিন। — যারা আপনাকে খোঁচা মারে, ছোট করে, বুলিং করে তাদের এড়িয়ে চলুন ।  নেতিবাচক মানুষ গুলিকে জীবন থেকে বিদায় করুন । — বিভিন্ন সৎকর্মে ...

প্রত্যাশা" আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে - আমরা সব সময় অন্যদের থেকে প্রত্যাশা করি৷

ছবি
- "প্রত্যাশা" আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে - আমরা সব সময় অন্যদের থেকে প্রত্যাশা করি৷ অন্যরা আমার জন্য করবে, অন্যরা আমাকে বুঝবে, অন্যরা আমাকে গুরুত্ব দেবে, অন্যরা আমাকে সামলাবে, অন্যরা আমার কথা শুনবে ইত্যাদি ইত্যাদি৷ কিন্তু, আমরা ভুলে যাই যে সেই অন্যরাও কিন্তু আমার আপনার মতোই মানুষ; আর যে মানুষটি আপনার এই সকল প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করবে, সেই মানুষটিরও ঠিক আপনার প্রতি একই রকমের প্রত্যাশা রয়েছে৷ আর আপনি যদি তার কোনো প্রত্যাশাই পূরণ করতে না পারেন, তাহলে আপনারও কোনো অধিকার নেই তার থেকে একচেটিয়া ভাবে শুধু আশা করে যাওয়া৷  তাই অন্যের থেকে শুধু প্রত্যাশা না করে এটাও একটু ভাবুন যে, আপনি তার কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করেছেন৷  

অকারণে মন খারাপ কখনই হয় না। এইটা আমার বোধগম্য নয়

ছবি
 অকারণে মন খারাপ কখনই হয় না। এইটা আমার বোধগম্য নয়। মানুষের মন অনেক বৈচিত্র্যময় সেইটা আমি মানি , কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট কারন ছাড়া আপনার মন কখনোই খারাপ হবে না। সেই কারণটি হতে পারে অনেক গুরুতর বা তুচ্ছ, মন খারাপের পিছনে সুনির্দিষ্ট একটা কারন থাকবেই । কারন মানুষের মন অনেক স্পর্শকাতর । অল্প আনন্দে যেমন এটি আপনাকে প্রফুল্ল রাখবে ঠিক মৃদু কোন কারনে হৃদয় ভেঙ্গে যেতে পারে। যদি আপনি আপনার মন খারাপের জন্য কোন কারন খুজে না পান বা কাউ কে বলেন যে আপনার মন খারপের পিছে কোন কারন নেই , তাহলে যেইটা হচ্ছে সেইটা হলো আপনি আপনার মন খারাপ এর সুনির্দিষ্ট কারন কাউকে বলতে চাচ্ছেন না।