wasif ahammed kishor

 আমরা 'ঠকে' যাই! আবার নতুন একজন কে 'বিশ্বাস' করি! সে ঠকায়,আমরা আবার নতুন অন্য একজন কে বিশ্বাস করি! এই মানুষ টাও ঠকায়! আমরা তাও আবার নতুন একজন কে বিশ্বাস করি! 'এই মানুষ টা হয়তো অন্যদের মত না' চিন্তা করে বিশ্বাস করেই যাই আর ঠকেই যাই! দিনশেষে যখন নিজের কাছে নিজেকেই 'একা' লাগবে,তখন আপনার পাশে যে মানুষ টা থাকবে সেটা আপনি নিজেই! তাই সবার আগে নিজের যত্ন নিন! আপনি নিজে নিজের যত্ন নিলে নিজে ভালো থাকবেন,নিজে নিজেকে ভালোবাসলে নিজেই ভালো থাকবেন। নিজের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে পারলে আর কাউকে লাগে না! অনেক প্যারা থাকবেই,তবুও বলা যাবে 'ব্যাপার নাহ! আমার আমি আছি! আর কাউকে লাগবে না!'  আমরা 'আশা' হারাই না! একদিন হয়তো কেউ আসবে যে 'থেকে' যাবে! 'ঠকানোর' জন্য আসবে না! 

 অনুভূতি বড়ই অদ্ভুত এক জিনিস।বলা নেই,কওয়া নেই,উড়ে এসে জুড়ে বসে।হয়তো খুব সুন্দর কোথাও যাচ্ছি, সবাই মিলে হইচই করছি,এমন সময়ে কোথা থেকে কি যেনো একটা মনে এসে ধক্ করে উঠবে বুকটা,কিছুই ভালো লাগবে না তখন,কোনও কিছুতে জোর করেও মন বসানো যাবে না।ওই সময় মন খারাপ করে থাকতে হবে,এটাই যেনো নিয়ম।আবার হয়তো একদিন মন মেজাজ খারাপ,অসহ্য লাগছে সবই,এমন সময়ে সেই কোনকালের কি একটা দারুণ কিছু মনে পড়ে হুট করে মনটা ভালো হয়ে যাবে।কোন কথা নেই,বার্তা নেই, মনটা পাখির মতো ডানা মেলতে চাইবে।পরে কখনো ভেবে দেখলে এই হুট করে মন খারাপ বা ভালো হওয়া, এর কোনটিরই একটিও ব্যাখা দাঁড় করানো যাবে না। আসলে অনুভূতিগুলো সত্যিই বড়ো অনুভূতিপ্রবণ।এরা তৈরিই হয় অনেকদিন আগের কোন ও স্মৃতিতে ভালোমতো নাড়া দিতে!তাইতো বেশিরভাগ অনুভূতিই হয় নামসম্পর্কহীন।আর কোন তর্ক,বিচার,যুক্তি,ব্যাখা দিয়ে অনুভূতিগুলো বর্ণনা করা যায় না,এরা কেবলই জমা থাকে মনের স্মৃতিকোটরে।

 সদা হাস্যজ্জল মানুষকে কার না ভাল লাগে। হাসিমুখে থাকতে পারাও তো একটি গুণ। আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই থাকেন, ভেতরে ভেতরে যাই চলুক না কেন, মুখে লেপটে থাকে হাসি। হয়ে উঠেন সবার প্রিয়মুখ। হাসি ঠাট্টা, উচ্ছলতা ও কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন। এরকম একজন মানুষও কী মানসিক অসুবিধায় ভুগতে পারেন? তারও কী হতে পারে বিষণ্ণতা? অবাক শোনালেও, কথা কিন্তু সত্য। সদা হাস্যজ্জল মুখের আড়ালে থাকতে পারে ভয়ানক মন খারাপের কিছু। ধুঁকে ধুঁকে জ্বলতে পারে হতাশার শিখা। চিকিৎসা বিজ্ঞান যার নাম দিয়েছে ‘হাসিমুখের বিষণ্ণতা (Smiling Depression)’। সাধারণভাবে বিষণ্ণতার কথা বললে আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে দুঃখবোধ,  কিছু ভালো না লাগা, অল্পতেই কাঁদা, কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, অবসাদ, অরুচি, ঘুমের গোলযোগ ইত্যাদি নানা উপসর্গ। অর্থাৎ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তি মানেই যেন দুঃখের কালো মেঘ মাথার উপর নিয়ে চলতে থাকা কেউ। এই সরলীকৃত চিন্তা অনেক সময় গুরুতর অসুবিধাগুলোকে চোখের আড়াল করে ফেলে। কেননা, ব্যক্তিবিশেষে বিষণ্ণতার অভিজ্ঞতা ভিন্ন হতে পারে। যেমন, স্মাইলিং ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তি ভেতরে লুকিয়ে রাখেন অনেক গুরুতর অসুবিধা। বাইরে ...

 ধোকা দেওয়ার মানুষ  অনেক  আছে  কিন্তু   ভালোবাসার মানুষ  খুব  কম।  ফেসবুক, মেসেঞ্জারে  আমরা প্রতিনিয়ত  রিলেশন বা বন্ধুত্ব করে প্রতারিত হই।  আমরা আসলে নিজেদের দোষেই নিজেরা প্রতারিত হই।  মেসেঞ্জারে অপরিচিত একজনের  আবেগ মাখা কথা শুনে মন প্রান দিয়ে  ভালোবাসতে শুরু করি, দিন শেষে সেই মানুষগুলোই প্রতারণা করে আমাদের সাথে ।  মেসেঞ্জারের সম্পর্কগুলো প্রথম দিকে মধুর হলেও কিছু দিন পরে সেটা হয়ে যায় খুবই তিক্ত ও জঘন্যতম।  সম্পর্কের শুরুতে যারা বেশি  পরহেজগারি দেখায় দিন শেষে তারাই প্রতারণা করে বেশি।  একজন মানুষ  যত ভালোই  হোকনা কেন ?  আমাদের  উচিত  সম্পর্কে শুরুতে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে তার সাথে সম্পর্কে যুক্ত  হওয়া।  জীবনে প্রতারণার শিকার হওয়াটা স্বাভাবিক কিন্তু  মনের মতো  একজনকে পাওয়াটা অস্বাভাবিক।  ভালো থাকতে হলে স্বার্থবাদী হতে হয়।  পৃথিবীতে  যে যত স্বার্থপর সে তত সুখী ।

 দিন শেষে আপনি যার জন্য অপেক্ষা করছেন সে হয়ত অন্য কারোর জন্য অপেক্ষা করছে অথবা অন্য কাউকে নিয়ে ভেসে চলছে তেপান্তরে। এভাবেই অপেক্ষার আড়ালে লুকিয়ে থাকে এক একটা গল্প,লুকিয়ে থাকে আরেকটা অজানা অপেক্ষা। আমরা যে ব্যক্তিদের  আমাদের  জীবনে  অনেক গুরুত্ব  দিয়ে ফেলি,সেই ব্যক্তিরাই আমাদের  বেশি অবহেলা  করে,যে অবহেলা পোঁড়া ক্ষত এতটা যন্ত্রনাদায়ক পৃথিবীর  বাকি সব অবহেলার কাছে হার মানে🙂 হয় তো আমাদের জীবনে  মূল্য অনেক বেশি কিন্তু  তাদের জীবনে আমাদের  কোনো মূল্য  নেই🙂 কথায় বলে, মানুষ হারাতে হারাতে যখন সব হারিয়ে ফেলে, একসময়  হারানোর কিছুই থাকে না, ঠিক তখনই মানুষ জিততে শুরু করে। মানুষ নিজের জন্য বাঁচতে শুরু করে। কেউই আগে থেকে ভাঙা-চোরা থাকে না, তাদের ভাঙা হয়।একটু-একটু করে খুন করা হয়, ফুলের মত মন গুলোকে। ঠিক ভাঙার আগে তাদের সঙ্গ দেওয়া হয় খুঁজে নিয়ে| সময় দেওয়া হয় অস্বাভাবিক ভাবে, স্বপ্ন দেখিয়ে রাত জাগানো হয় দুটো চোখকে। খোঁজ নেওয়া হয় কারণে-অকারণে।তখন বিরক্ত বোধ হয়না একের বেশি খবর নেওয়াত। বিরক্তি তো আসে তখন, যখন কেউ সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পরে।...

 বুঝতে শিখুন!কে সময় নিয়ে আপনার সাথে কথা বলে আর কে সময় পেলে আপনার সাথে কথা বলে! মানুষের কাছে কিছু প্রত্যাশা করাই  বৃথা চেষ্টা, কারন যে এখন সময় দিচ্ছে এক সময় সে ও কিন্তু থাকে না,,,,, কারণ এই জগতে প্রিয়জন এর চেয়ে প্রয়োজনকে মূল্যবান ভাবে মানুষ।  মানুষ তো মিথ্যার মুখোশ পড়ে থাকে! আর মুখোশ পড়ে থাকা মানুষকে তো খুব সহজে বুঝা যায় নাহ, আমরা কার প্রয়োজন আর কার প্রিয়জন  একা থাকতে শিখার খুব দরকার। এ জীবনে প্রিয় মানুষগুলোকে হারাতে হারাতে এখন একা থাকার অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন বুঝে গেছি সবাই জীবনে চিরস্থায়ী নয়। শুধু ক্ষনিকের জন্য আসা মানুষ চিরস্থায়ী কষ্টই দিয়ে যায়।  @ওয়াসিফ আহমেদ কিশোর  

 মানুষের প্রায়োরিটি বদলায়; হুম, খুব নিষ্ঠুর ভাবে বদলে যায়। আমাদের জীবনে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বহুমানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হয় এবং সম্পর্ক হয়, তাদের মধ্যে দুই ধরনের মানুষ সারাজীবন আমাদের মনে জায়গা করে নেয় ১ঃ কিছু মানুষ তাদের অসীম ক্ষমতা মায়া মমতায় ভালো ব্যবহারের অন্তরিকতার যাদুতে আপনকরে মানুষের মনে জায়গা করে নেয়। তাদের অধিকাংশ মানুষেই খুবই অল্প সময়ে আমাদের মনে এমন ভাবে জায়গা করে নেয় যে তাদের আমরা  কখনোই ভুলতে পারিনা এবং তাদের ছাড়তেও পারিনা, তারা আমাদের সকল সুখে দুখে পাশে থেকে কষ্ট দুঃখ সকল কিছুই ভুলিয়ে নতুন করে বাচঁতে শিখিয়ে নতুন করে পথ চলতে শিখিয়ে হঠাৎ মাঝপথে ছেড়ে চলে যায় (সবাই একদিন চলে যাবে এটা সত্যি কিন্তু কিছু মানুষের চলে যাওয়া মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর হয় তাদের কখনোই ভুলে যাওয়া যায় না না পারা যায় মন থেকে মুছে ফেলতে। তারা এমন ভাবে তাদের মায়া জরিয়ে আমাদের জীবনে থেকে যায় যা কখনো আমরা ভুলতে পারিনা এমনি মৃতুর আগ পর্যন্ত তাদের কথা আমাদের মনে থাকে। ২ঃকিছু মানুষ আসবে যারা নিজের স্বার্থে আমাদের সাথে সম্পর্ক গড়বে আমাদের সব সুখে পাশে থাকবে এবং সামনে ভালোমানুষি রুপ দেখাবে কিন্তু আমাদে...